প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একাধিক বিবাহ : নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত বর

19th May 2021 11:55 pm বর্ধমান
প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একাধিক বিবাহ : নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত বর


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একাধিক তুরুণীকে বিয়ে করার পর তাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক ।   ধৃতের নাম লক্ষ্মণ দাস ওরফে অজয় সিং। বর্ধমান শহর লাখোয়া  সদরঘাট এলাকায় তার বাড়ি।দুই স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ দুটি পৃথক মামলা রুজু করে মঙ্গলবার রাতে আমড়া বাজার থেকে  তাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।  
ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২ জুন ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন । 

 
পুলিশ  জানিয়েছে, লক্ষণ দাস  শক্তিগড় থানার শিলেপাড়া নিবাসী মাম্পি জানাকে । ২০১৭ সালে প্রেমের জালে ফাঁসায়। পরে তাকে  বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে  সে বিয়ে করে। বিয়ের বছর দু’য়েক পর স্বামী লক্ষণের অন্য মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে পারেন মাম্পি। তা নিয়ে  প্রতিবাদ করায় মাম্পির উপর নির্যাতন চালানো শুরু করে লক্ষণ । অত্যাচার দিন দিন বাড়তে থাকে।  লক্ষ্মণ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে  রবিবার সন্ধ্যায় মাম্পিকে মারধর করে। এরপরই মাম্পি শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অন্যদিকে, শক্তিগড় থানার আমড়ার বাসিন্দা বিউটি মালিকের  অভিযোগ , গতবছর নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক পাতায় লক্ষ্মণ। কিছুদিন পর সে তাঁকে বিয়ে করে । বিয়ের কিছুদিন পর থেকে লক্ষণ তাঁর উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। বর্তমানে বিউটি ২ মাসের অন্তসত্বা। রবিবার রাতে লক্ষ্মণ তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সদরঘাটে এসে তাঁকে ফের মারধর করে।  বিউটির অভিযোগ সদরঘাটেই তিনি জানতে পারেন, লক্ষ্মণ আরও কয়েকজনকে একই ভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে। এমনটা জানার পরে বিউটি ওইদিধ রাতেই লক্ষণের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতেই দুটি পৃথক মামলা রুজু করে পুলিশ লক্ষণকে গ্রেপ্তার করে । 

 ছবি প্রতীকী ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।